কতগুলো ছেলে ছাতের উপর হুড়োহুড়ি করে খেলা করছে-এমন সময়ে একটা মারামারির শব্দ শোনা গেল। তার পরেই হঠাৎ গোলমাল থেমে গিয়ে সবাই মিলে ‘হারু পড়ে গেছে’ বলে কাঁদতে কাঁদতে নিচে চলল।
খানিক বাদেই শুনি একতলা থেকে কান্নাকাটির শব্দ উঠছে। বাইরের ঘরে যদুর বাবা গণেশবাবু ছিলেন-তিনি ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী হয়েছে?’ শুনতে পেলেন ছেলেরা কাঁদছে, ‘হারু পড়ে গিয়েছে।’ বাবু তখন দৌড়ে গেলেন ডাক্তার ডাকতে।
পাঁচ মিনিটে ডাক্তার এসে হাজির, কিন্তু হারু কোথায়? বাবু বললেন, ‘এদিকে তো পড়েনি, ভেতর বাড়িতে পড়েছে বোধহয়।’ কিন্তু ভেতর বাড়িতে মেয়েরা বললেন, ‘এখানে তো পড়েনি-আমরা তো ভাবছি বার-বাড়িতে পড়েছে বুঝি।’ বাইরেও নেই, ভেতরেও নেই, তবে কি ছেলে উড়ে গেল? তখন ছেলেদের জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোথায় রে? কোথায় হারু?’ তারা বললে, ‘ছাতের উপর।’ সেখানে গিয়ে তারা দেখে, হারু বাবু অভিমান করে বসে বসে কাঁদছে! হারু বড় আদুরে ছেলে, মারামারিতে সে পড়ে গেছে দেখেই আর সকলে মার খাবার ভয়ে সেখান থেকে চম্পট দিয়েছে। ‘হারু পড়ে গেছে’ বলে এত যে কান্না, তার অর্থ, সকলকে জানানো হচ্ছে যে ‘হারুকে আমরা ফেলে দিইনি-সে পড়ে গেছে বলে আমাদের ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে।’
হারু তখন সকলের নামে বাবার কাছে নালিশ করবার জন্য মনে মনে অভিমান জমিয়ে তুলছিল-হঠাৎ তার বাবাকে লোকজন আর ডাক্তার-সুদ্ধ এগিয়ে আসতে দেখে, ভয়ে তার আর নালিশ করাই হলো না। যা হোক, হারুকে আস্ত দেখে সবাই এমন খুশি হলো যে শাসনটাসনের কথা কারও মনেই এল না।
সবচেয়ে বেশি জোরে কেঁদেছিলেন হারুর ঠাকুরমা। তিনি আবার কানে শোনেন কিছু কম। তাঁকে সবাই জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি এত কাঁদছিলেন কেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কি অত জানি? দেখলুম ঝিয়েরা কাঁদছে, বৌমা কাঁদছেন, তাই আমিও কাঁদতে লাগলুম-ভাবলুম একটা কিছু হয়ে থাকবে।’
Related Chapters
- সূচনা
- জীবনী
- আবোল তাবোল
- অবাক কাণ্ড
- আবোল তাবোল
- আবোল তাবোল – ২
- আহ্লাদী
- একুশে আইন
- কাঁদুনে
- কাঠবুড়ো
- কাতুকুতু বুড়ো
- কি মুস্কিল
- কিম্ভুত
- কুম্ড়ো পটাশ
- খিচুড়ি
- খুড়োর কল
- গন্ধ বিচার
- গল্প বলা
- গানের গুঁতো
- গোঁফচুরি
- চোর ধরা
- ছায়া বাজি
- ট্যাঁশ গরু
- ঠিকানা
- ডানপিটে
- দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্
- নারদ! নারদ!
- নোট বই
- ন্যাড়া বেলতলায় যায় ক’বার
- পালোয়ান
- প্যাঁচা আর প্যাঁচানি
- ফসকে গেল
- বাবুরাম সাপুড়ে
- বিজ্ঞান শিক্ষা
- বুঝিয়ে বলা
- বুড়ীর বাড়ী
- বোম্বাগড়ের রাজা
- ভালরে ভাল
- ভুতুড়ে খেলা
- ভয় পেয়ো না
- রামগরুড়ের ছানা
- লড়াই ক্ষ্যাপা
- শব্দ কল্প দ্রুম্
- শুরু
- সাবধান
- সৎপাত্র
- হাত গণনা
- হাতুড়ে
- হুলোর গান
- খাই খাই
- দাঁড়ের কবিতা
- পাকাপাকি
- অসম্ভব নয়!
- খাই খাই
- বিষম চিন্তা
- হরিষে বিষাদ
- পরিবেষণ
- জালা – কুঁজো সংবাদ
- আড়ি
- নাচের বাতিক
- অবুঝ
- পড়ার হিসাব
- হিংসুটিদের গান
- সাধে কি বলে গাধা!
- তেজিয়ান
- জীবনের হিসাব
- আশ্চর্য !
- নিরুপায়
- হিতে-বিপরীত
- নন্দগুপি
- বর্ষ শেষ
- গ্রীষ্ম
- বর্ষার কবিতা
- শ্রাবণে
- নিঃস্বার্থ
- বর্ষ গেল বর্ষ এল
- হারিয়ে পাওয়া
- সঙ্গীহারা
- গ্রীষ্ম
- কাজের লোক
- দেশ-বিদেশের গল্প
- ওয়াসিলিসা
- পাজি পিটার
- শ্বেতপুরী আর লালপুরী
- দেবতার দুর্বুদ্ধি
- দেবতার সাজা
- হারকিউলিস
- অর্ফিয়ুস
- খৃস্টবাহন
- নাপিত পন্ডিত
- বুদ্ধিমানের সাজা
- দুষ্টু দরজি
- আশ্চর্য ছবি
- ভাঙা তারা
- লোলির পাহারা
- তিন বন্ধু
- দ্রিঘাংচু
- অসিলক্ষণ পন্ডিত
- রাজার অসুখ
- দানের হিসাব
- এক বছরের রাজা
- কার দোষ
- দুই বন্ধু
- বুদ্ধিমান শিষ্য ১
- বুদ্ধিমান শিষ্য ২
- ঠুকে মারি আর মুখে মারি
- বোকা বুড়ি
- সূদন ওঝা
- রামের শঙ্খ
- অন্ধের বর চাওয়া
- টাকার আপদ
- বিবিধ কবিতা
- নদী
- অন্ধ মেয়ে
- সাগর যেথায়
- আয়রে আলো আয়
- মেঘের খেয়াল
- আজব খেলা
- কত বড়
- বড়াই
- বেজায় রাগ
- সঙ্গীহারা
- বিচার
- বিষমকাণ্ড
- মনের মতন
- বর্ষ গেল, বর্ষ এল
- নূতন বৎসর
- গ্রীষ্ম ১:২
- শ্রাবণে
- শিশুর দেহ
- বেজায় খুশি
- খোকা ঘুমায়
- ভারি মজা
- লোভী ছেলে
- সাহস
- নানা গল্প
- ছাতার মালিক
- ব্যাঙের রাজা
- পুতুলের ভোজ
- হিংসুটি
- পেটুক
- সবজান্তা দাদা
- যতীনের জুতো
- গোপালের পড়া
- গল্প
- সত্যি
- রাগের ওষুধ
- ডাকাত নাকি
- হাসির গল্প
- বাজে গল্প ১
- বাজে গল্প ২
- বাজে গল্প ৩
- কুকুরের মালিক
- উকিলের বুদ্ধি
- গরুর বুদ্ধি
- ঠকানে প্রশ্ন
- ঠকানে প্রশ্নের উত্তর
- ভুল গল্প
- নাটক
- লক্ষ্মণের শক্তিশেল