উপসংহার / পরিশিষ্ট / ক্রোড়পত্র

উপস্থিত বহুবিবাহনিবারণচেষ্টা বিষয়ে, আমি যে সকল আপওি শুনিতে পাইয়াছি, তাহাদের নিরাকরণে যথাশক্তি যত্ন করিলাম। আমার যত্ন কত দূর সফল হইয়াছে, বলিতে পারি না। যাঁহারা দয়া করিয়া এই পুস্তক পাঠ করিবেন, তাঁহারা তাহার বিবেচনা করিতে পারিবেন। এ বিষয়ে এতদ্ব্যতিরিক্ত আরও কতিপয় আপত্তি উপস্থিত হইতে পারে; সে সকলেরও উল্লেখ করা আবশ্যক।

প্রথম;—কতকগুলি লোক বিবাহবিষয়ে যথেচ্ছাচারী; ইচ্ছা হইলেই বিবাহ করিয়া থাকেন। এরূপ ব্যক্তিসকল নিজে সংসারের কর্ত্তা; সুতরাং, বিবাহ প্রভৃতি সাংসারিক বিষয়ে অন্যদীয় ইচ্ছার বশবর্ত্তী নহেন। ইহারা স্বেচ্ছানুসারে ২। ৩। ৪। ৫ বিবাহ করিয়া থাকেন। ইহারা আপত্তি করিতে পারেন, সাংসারিক বিষয়ে মনুষ্যমাত্রের সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্ব ও স্বেচ্ছানুসারে চলিবার সম্পূর্ণ ক্ষমতা আছে; প্রতিবেশিবর্গের সে বিষয়ে কথা কহিবার বা প্রতিবন্ধক হইবার অধিকার নাই। যাঁহাদের একাধিক বিবাহ করিতে ইচ্ছা বা প্রবৃত্তি নাই, তাহারা এক বিবাহে সন্তুষ্ট হইয়া সংসারযাত্রা নির্ব্বাহ করুন; আমরা তাঁহাদিগকে অধিক বিবাহ করিতে অনুরোধ করিব না। আমাদের অধিক বিবাহ করিবার ইচ্ছা আছে, আমরা ভাহা করিব; সে বিষয়ে তাঁহারা দোষদর্শন বা আপত্তি উদ্যাপন করিবে কেন।

দ্বিতীয়;—পিতা মাতা পুত্রের বিবাহ দিয়াছেন। বিবাহের পর, কন্যাপক্ষীয়দিগকে, বহুবিধ দ্রব্যসামগ্রী দিয়া, মধ্যে মধ্যে জামাতার তত্ত্ব করিতে হয়। তবে তত্ত্বের সামগ্রী ইচ্ছানুরূপ না হইলে, জামাতৃপক্ষীয় স্ত্রীলোকেরা অসন্তুষ্ট হইয়া থাকেন। কোনও কোনও স্থলে এই অসন্তোষ এত প্রবল ও দুর্নিবার হইয়া উঠে যে তদুপলক্ষে পুনরায় পুত্রের বিবাহ দেওয়া আবশ্যক হয়।

তৃতীয়;—কখনও কখনও অতি সামান্য কারণে বৈবাহিকদিগের পরস্পর বিলক্ষণ অস্বরস ঘটিয়া উঠে। তথাবিধ স্থলেও পিতা মাতা, বৈবাহিককুলের উপর আক্রোশ করিয়া, পুনরায় পুত্রের বিবাহ দিয়া থাকেন।

চতুর্থ;—কোনও কারণে, কোনও কোনও স্থলে, পুত্রবধূর উপর শাশুড়ীর বিষম বিদ্বেষ জন্মে। সেই বিদ্বেবুদ্ধির বশবর্ত্তিনী হইয়া, তিনি স্বামীকে সম্মত করিয়া পুনরায় পুত্রের বিবাহ দেন।

পঞ্চম;—অধিক অলঙ্কার দানসামগ্রী প্রভৃতি পাওয়া যাইতেছে, এই লোভে আক্রান্ত হইয়া, কোনও কোনও পিতা মাতা কদাকারা কন্যার সহিত পুত্রের বিবাহ দেন। সেই স্ত্রীর উপর পুত্রের অনুরাগ জন্মে না। পরিশেষে পুত্রের সন্তোষার্থে পুনরায় তাহার বিবাহ দিতে হয়।

ষষ্ঠ;—অন্য কোনও লোভ নাই, কেবল কুটুম্বিতার বড় সুখ হইবেক, এ অনুরোধেও পিতা মাতা, পুত্রের হিতাহিত বিবেচনা না করিয়া, তাহার বিবাহ দিয়া থাকেন। সে স্থলেও অবশেষে পুনরায় পুত্রের বিবাহ দিবার আবশ্যকতা ঘটে।

যদি রাজশাসন দ্বারা বহুবিবাহ প্রথা রহিত হইয়া যায়, তাহা হইলে, পুত্রের বিবাহবিয়ে পিতামাতার যে স্বেচ্ছাচার আছে, তাহার উচ্ছেদ হইবেক। সুতরাং তাঁহাদেরও তন্নিবারণবিষয়ে আপত্তি করিবার আবশ্যকতা আছে। কিন্তু এপর্য্যন্ত, কোনও পক্ষ হইতে তাদৃশ আপত্তি স্পষ্ট বাক্যে উচ্চারিত হয় নাই। সুতরাং, ঐ সকল আপত্তির নিৱাকরণে প্রবৃত্ত হইবার প্রয়োজন নাই।

বহুবিবাহপ্রথা নিবারাণার্থ আবেদনপত্র প্রদানবিষয়ে যাঁহারা প্রধান উদ্যোগী, কোনও কোনও পক্ষ হইতে তাঁহাদের উপর এই অপবাদ প্রবর্তিত হইতেছে যে, তাঁহারা কেবল নাম কিনিবার জন্য দেশের অনিষ্টসাধনে উদ্যত হইয়াছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, বিংশতি সহস্রের অধিক লোক আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করিয়াছেন। ইঁহারা সকলে এত নির্ব্বোধ ও অপদার্থ নহেন, যে এককালে সদস্য দ্বিবেচনাশূ্ন্য হইয়া, কতিপয় ব্যক্তির নামক্রয়বাসনা পূর্ণ করিবাব জন্য, স্ব স্ব নাম স্বাক্ষর করিলেন। নিম্নে কতিপয় স্বাক্ষরকারীর নাম নির্দ্দিষ্ট হইতেছে; —

বর্দ্ধমানাধিপতি শ্রীযুত মহারাজাধিরাজ মহাতাপচন্দ্র বাহাদুর
নবদ্বীপাধিপতি শ্রীযুত মহারাজ সতীশচন্দ্র রায় বাহাদুর
শ্রীযুত রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ বাহাদুর (পাইকপাড়া)
শ্রীযুত রাজা সত্যশরণ ঘোষাল বাহাদুর (ভূকৈলাস)
শ্রীযুত বাবু জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় (উত্তরপাড়া
শ্রীযুত বাবু রাজকুমার রায় চৌধুরী (বারিপুর)
শ্রীযুত রাজা পূর্ণচন্দ্র রায় (সাওড়াপুলী)
শ্রীযুত বাবু সারদাপ্রসাদ রায় (চকদিঘী)
শ্রীযুত বাবু যজ্ঞেশ্বর সিংহ (ভাস্তাড়া)
শ্রীযুত রায় প্রিয়নাথ চৌধুরী (টাকী)
শ্রীযুত বাবু শিবনারায়ণ রায় (জাড়া)
শ্রীযুত বাবু শম্ভুনাথ পণ্ডিত

শ্রীযুত বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্রীযুত বাবু রামগোপাল ঘোষ
শ্রীযুত বাবু হীরালাল শীল
শ্রীযুত শ্যামাচরণ মল্লিক
শ্রীযুত বাবু রাজেন্দ্র মল্লিক
শ্রীযুত বাবু রাজেন্দ্র দত্ত
শ্রীযুত বাবু নৃসিংহ দত্ত
শ্রীযুত বাবু গোবিন্দচন্দ্র সেন
শ্রীযুত বাবু হরিমোহন সেন
শ্রীযুত বারু মাধবচন্দ্র সেন

শ্রীযুত বাবু রামচন্দ্র ঘোষাল
শ্রীযুত বাবু ঈশ্বরচন্দ্র ঘোষাল
শ্রীযুত বাবু দ্বারকানাথ মল্লিক
শ্রীযুত বাবু কৃষ্ণকিশোর ঘোষ
শ্রীষুত বাবু দ্বারকানাথ মিত্র
শ্রীযুত বাবু দয়ালচাঁদ মিত্র
শ্রীযুত বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্র
শ্রীযুত বাবু প্যারীচাঁদ মিত্র
শ্রীযুত বাবু দুর্গাচরণ লাহা
শ্রীযুত বাবু শিবচন্দ্র দেব
শ্রীযুত বাবু শ্যামাচরণ সরকার
শ্রীযুত বাবু কৃষ্ণদাস পাল

এক্ষণে অনেকে বিবেচনা করিতে পারিবেন, এই সকল ব্যক্তিকে তত নির্ব্বোধ ও অপদার্থ জ্ঞানকরা সঙ্গত কি না। বহুবিবাহ প্রথা নিবারণ হওয়া উচিত ও আবশ্যক, এরূপ সংস্কার না জম্মিলে, এবং তদর্থে রাজদ্বারে আবেদনকরা পরামর্শসিদ্ধ বোধ না হইলে, ইঁহারা অন্যের অনুরোধে, বা অন্যবিধ কারণ বশতঃ, আবেদনপত্রে নাম স্বাক্ষর করিবার ব্যক্তি নহেন। আর, বহুবিবাহপ্রধা নিবারিত হইলে দেশের অনিষ্টসাধন হইবেক, এ কথার অর্থগ্রহ করিতে পারা যায় না। বহুবিবাহ প্রথা যে, যার পর নাই, অনিষ্টের কারণ হইয়া উঠিয়াছে, তাহা, বোধ হয়, চক্ষু কর্ণ হৃদয় বিশিষ্ট কোনও ব্যক্তি অস্বীকার করিতে পারেন না। সেই নিরতিশয় অনিষ্টকর বিষয়ের নিবারণ হইলে, দেশের অনিষ্টসাধন হইবেক, আপত্তিকারী মহাপুরুষদের মত সূক্ষদর্শী না হইলে, তাহা বিবেচনা করিয়া স্থির করা দুরূহ। যাহা হউক, ইহা নির্ভয়ে ও নিঃসংশয়ে নির্দেশ করা যাইতে পারে, যাঁহারা বহুবিবাহ- প্রথা নিবারণের জন্য রাজদ্বারে আবেদন করিয়াছেন, স্ত্রীজাতির দুরবস্থাবিমোচন ও সমাজের দোষসংশোধন ভিন্ন, তাঁহাদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য বা অভিসন্ধি নাই।

.

পরিশিষ্ট

পুস্তকের দ্বিতীয় প্রকরণে কতকগুলি সংস্কৃত শ্লোক প্রমাণরূপে পরিগৃহীত হইয়াছে; কিন্তু, ঐ সকল শ্লোক কোন গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত হইল, তত্তৎস্থলে তাহার নির্দেশ নাই। শ্লোকসকল, বহুকাল পূর্ব্বে, বিক্রমপুরবাসী প্রসিদ্ধ কুলাচার্য্য ঈশ্বরচন্দ্র তর্কভূষণ মহাশয়ের নিকট হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। কিন্তু, তর্কভুষণ মহাশয় যে পুস্তক হইতে উদ্ধৃত করিয়া দেন, অনবধান বশতঃ, ঐ পুস্তকের নাম লিখিয়া রাখা হয় নাই। তর্কভূষণ মহাশয়ের লোকান্তর প্রাপ্তি হইয়াছে; সুতরাং এ বিষয়ে তদীয় সাহায্যলাভের আর প্রত্যাশা নাই। উল্লিখিত শ্লোক সমূহের অধিকাংশ অত্রত্য কুলাচার্য মহাশয়দিগের কণ্ঠস্থ আছে; কিন্তু ঐ গ্রন্থ আঁহাদের নিকটে নাই; এবং এখানে কোনও স্থানে আছে কি না, তাহারও অনুসন্ধান পাওয়া গেল না। এই নিমিত্ত, নিতান্ত নিরুপায় হইয়া, গ্রন্থের নাম নির্দেশ করিতে পারি নাই

পুস্তকের চতুর্থ প্রকরণে, বিবাহব্যবসায়ী ভঙ্গকুলীনদিগের বাস, বয়স, বিবাহসংখ্যার যে পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে, তদ্বিষয়ে কিছু বলা আবশ্যক। তাদৃশ ভঙ্গকুলীনদিগের পৈতৃক বাসস্থান নাই; কতকগুলি পিতার মাতুলালয়ে, কতকগুলি নিজের মাতুলালয়ে, কতকগুলি পুত্রের মাতুলালয়ে অবস্থিতি করিয়া থাকেন; আর কতকগুলি কখন কোন আলয়ে অবস্থিতি করেন, তাহার স্থিরতা নাই। সুতরাং তাঁহাদের যে বাসস্থান নির্দিষ্ট হইয়াছে, কোনও কোনও স্থলে, তাহার বৈলক্ষণ্য লক্ষিত হইতে পারে। তাহাদের বয়ঃক্রম বিষয়ে বক্তব্য এই যে, এই বিষয় পাঁচ বৎসর পূর্বে সংগৃহীত হইয়াছিল; সুতরাং, এক্ষণে তাঁহাদের পাঁচ বৎসর অধিক বয়স হইয়াছে, এবং হয়ত কেহ কেহ পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন। আর বিবাহসংখ্যা দৃষ্টি করিয়া, কেহ কেহ বলিতে পারেন, অধিকবয়স্কদিগের বিবাহের সংখ্যা যেরূপ অধিক, অল্প- বয়স্কদিগের সেরূপ অধিক দৃষ্ট হইতেছে না; ইহাতে বোধ হইতেছে, এক্ষণে বিবাহব্যবসায়ের অনেক হ্রাস হইয়াছে। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, যাঁহাদের বিবাহের সংখ্যা অধিক, এক দিনে বা এক বৎসরে, তাঁহারা তত বিবাহ করেন নাই, তাঁহাদের বিবাহের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে, এবং অদ্যাপি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতেছে। ভঙ্গকুলীনের জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্য্যন্ত বিবাহ করিয়া থাকেন। এই পাঁচ বৎসরে, অল্পবয়স্ক দলের মধ্যে অনেকের বিবাহসংখ্যা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে; এবং, ক্রমে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়া, অধিক বয়সে এক্ষণকার বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিদের সমান হইবেক, সে বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। অতএব, উভয় পক্ষের বিবাহ- সংখ্যাগত বর্ত্তমান বৈলক্ষণ্যদর্শনে, ভঙ্গকুলীনদিগের বিবাহব্যবসায় আর পূর্ব্বের মত প্রবল নাই, এরূপ সিদ্ধান্তকরা কোনও মতে ন্যায়ানুমোদিত হইতে পারে না।

A BILL TO REGULATE THE PLURALITY
OF MARRIAGES BETWEEN HINDUS
IN BRITISH INDIA.

Whereas the institution of marriage among Hindus has

become subject to great abuses, which are alike

Preamble  repugnant to the principles of Hindu Law and the feelings of the people gencrally: and whereas the practice of unlimited Polygamy has led to the perpetration of revolting crimes, and whereas it is expedient to make Legislative provision for the prevention of those abuses and crimes, alike at variance with sound policy, justice, and morality: It is enacted as follows:—

I. No marriage, contracted by any male person of the Hindu religion, who has a wife alive, shall be valid, unless such person, on his remarriage, shall comply with tlie provisions of this act relative to remarriages.

II. Every male person of the Hindu religion, who desires to contract a fresh marriage, while he has a wife alive, shall prepare a written application, setting forth the grounds on which he claims to be allowed to remarry, and shall present the same to the Local Committee or Punchayet appointed to roceive such applications. Every such Local Committee or Punchayet shall consist of persons conversant with the laws or usages of Hindus.

III. On receipt of an application under the last preceding section, the Local Committee or Punchayet shall proceed to inquire whether there are sufficient grounds for allowing the claim therein set forth. Every such claim shall be summarily disallowed, unless one of the following grounds be alleged in the application.

1. That the living wife of the applicant has committed adultery.

2. That the living wife of the applicant is a confirmed Lunatic.

3, That the living wife of the applicant is afflicted with incurable Leprosy or some other such incurable and loathsome disease.

4. That the living wife of the applicant has been incapable of bearing male children, for a period of not less than eight years after the consummation of marriage.

5. That the living wife of the applicant, is guilty of practices by which a Hindu becomes an outcaste.

6. That the living wife of the applicant is a person with whom, according to the law and usages of the Hindus, he could not lawfully contract a marriage; and that his marriage with her had been contracted in ignorance of the true state of the case, or in consequence of fraud practised upon him.

IV. If the grounds alleged in an application relate exclusively to natters of private concernment, the Local Committee or Punchayet may require the applicant to testify to the facts on solemn affirmation and may record such testimony as sufficient prima facie evidence of the facts so testified. Provided, that nothing in this act shall exempt any applicant, in respect to any fact so testified, from liability to prosecution in a charge of giving false evidence.

V. If any of the grounds, stated above, be alleged in the application for permission to remarry, the Local Committee or Punchayet shall proceed to investigate the claim and shall pass an award allowing or disallowing the same.

VI. Every such award of a Local Committee or Punchayet shall be treated as an award of arbitrators and shall be forwarded without delay to the District Court, for registration.

VII. The District Judge, on receipt of any such award, shall issue a notice to every person concerned, allowing a stated period in which to shew cause why the award should not be registered. Provided, that such notice shall not, state the grounds upon which the award is based; the party wishing to know them, may apply to the Local Committee or Punchayet for a copy of their award.

VIII. If, within the period allowed, any of the parties concerned appear to show cause, the District Judge shall appoint a day for hearing the objection, and after such hearing shall pass judgment rejecting or admitting such objection. Provided, that if the objection relate to some point of Hindu Law or usage or to some matter of private concernment, it shall be competent to the District Judge, without passing judgment, to refer the objection to the Local Committee or Punchayet, by whom the award was made, for further investigation and report, and proceed, on receipt of their reply, to pass judgment as aforesaid.

IX. If the objection be admitted, the award shall be of no effect and shall not be registered.

X. If the objection be rejected, or if no objection be made within the period stated, the award shall be duly registered.

XI. When any such award shall be registered in the District Court, any party concerned may, at any time, obtain a copy of the same, and may put it in as sufficient prima facie evidence that the remarriage, to which it refers, is not invalid.

XII. Any person infringing the provisions of this act shall, on conviction before a competent Court, be punished with imprisonment, with or without hard labor, for a period not exceeding five years, or a fine not exceeding five thousand Rupees, or both.

XIII. Any person or persons, who shall knowingly aid or abet any person in infringing the provisions of this act, shall, on conviction before a competent Court, be punished with imprisonment, with or without hard labor, for a period not exceeding two years, or a fine not exceeding two thousand Rupees, or both.

XIV. On the registration, under this act, of an award of a Local Committee or Punchayet, a fee shall be chargeable at such rate as the Local Government shall from time to time prescribe.

.

ক্রোড়পত্র

অতি অল্প দিন হইল, শ্রীযুত ক্ষেত্রপাল স্মৃতিরত্ন, শ্রীযুত নারায়ণ বদরত্ন প্রভৃতি এয়োদশ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত বহুবিবাহবিষয়ক শাস্ত্রসম্মত বিচার নামে এক পত্র প্রচারিত হইয়াছে। বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়কবিচারনামক পুস্তক প্রচারিত হইবার পরে, ঐ বিচারপত্র আমার হস্তগত হয়। বহুবিবাহ শাস্ত্রসম্মত ব্যবহার, তাহা রহিত হওয়া কদাচ উচিত নহে; সর্ব্বসাধারণের নিকট ইহা প্রতিপন্ন করাই এই বিচারপত্রপ্রচারের উদ্দেশ্য। স্বাক্ষরকারী মহাশয়েরা স্বপক্ষসমর্থনার্থ স্মৃতি ও পুরাণের কতিপয় বচন প্রমাণরূপে উদ্ধৃত করিয়াছেন। তন্মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণ এই;—

১। একামূঢ়া তু কামার্থমন্যাং বোঢ়ুং য ইচ্ছতি।
সমর্থস্তোষয়িত্বার্থৈঃ পূর্ব্বোঢ়ামপরাং বহেৎ।
মদনপারিজাতধৃতস্মৃতিঃ।

যে ব্যক্তি এক স্ত্রী বিবাহ করিয়া রতিকামনায় অন্য স্ত্রী বিবাহ করিতে ইচ্ছা করেন তিনি সমর্থ হইলে পূর্ব্বপরিণীতাকে অর্থ দ্বারা তুষ্টা করিয়া অপর স্ত্রী বিবাহ করিবেন।
২। একৈব ভার্য্যা স্বীকার্য্যা ধর্ম্মকর্ম্মোপযোগিনা।
প্রার্থনে চাতিরাগে চ গ্রাহ্যানেকা অপি দ্বিজ॥
স্বতন্ত্রগার্হস্থ্যধর্ম্মপ্রস্তাবে ব্রহ্মাণ্ডপুরাণম্।

ধর্ম্মকর্ম্মোপযোগী ব্যক্তিদিগের এক ভার্য্যা স্বীকার করা কর্ত্তব্য, কিন্তু উপযাচিত হইয়া কেহ কন্যা প্রদানেচ্ছু হইলে অথবা রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগ থাকিলে তাঁহারা অনেক ভার্য্যাও গ্রহণ করিবেন।[১]
এই দুই প্রমাণদর্শনে, অনেকের অন্তঃকরণে, বহুবিবাহ শাস্ত্রানুগত ব্যাপার বলিয়া প্রতীতি জম্মিতে পারে, এজন্য এতদ্বিষয়ে কিছু বলা আবশ্যক হইতেছে। বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিয়ক বিচার পুস্তকে, দর্শিত হইয়াছে,[২] শাস্ত্রকারেরা বিবাহবিষয়ে চারি বিধি দিয়াছেন, সেই চারি বিধি অনুসারে, বিবাহ ত্রিবিধ নিত্য, নৈমিত্তিক, কাম্য। প্রথম বিধির অনুযায়ী বিবাহ নিত্য বিবাহ; বিবাহ না করিলে, মনুষ্য গৃহস্থাশ্রমে অধিকারী হইতে পারে না। দ্বিতীয় বিধি অনুযায়ী বিবাহও নিত্য বিবাহ; তাহা না করিলে, আশ্রমভ্রংশনিবন্ধন পাতকগ্রস্ত হইতে হয়। তৃতীয় বিধির অনুযায়ী বিবাহ নৈমিত্তিক বিবাহ; কারণ, তাহা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব চিররোগিত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত বশতঃ করিতে হয়। চতুর্থ বিধির অনুযায়ী বিবাহ কাম্য বিবাহ। এই বিবাহ, নিত্য ও নৈমিত্তিক বিবাহের, ন্যায়, অবশ্যকর্ত্তব্য নহে, উহা পুরুষের সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন, অর্থাৎ ইচ্ছা হইলে তাদৃশ বিবাহ করিতে পারে, এইমাত্র। পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধন গৃহস্থাশ্রমের উদ্দেশ্য। দারপরিগ্রহ ব্যতিরেকে এ উভয় সম্পন্ন হয় না; এই নিমিত্ত, প্রথম বিধিতে দারপরিগ্রহ গৃহস্থাশ্রম প্রবেশের দ্বারস্বরূপ ও গৃহস্থাশ্রমসমাধানের অপরিহার্য উপায়স্বরূপ নির্দিষ্ট হইয়াছে। গৃহস্থাশ্রমসম্পাদনকালে স্ত্রীবিয়োগ ঘটিলে, যদি পুনরায় বিবাহ না করে, তবে সেই দারবিরহিত ব্যক্তি আশ্রমত্রংশনিবন্ধন পাতকগ্রস্ত হয়; এজন্য, ঐ অবস্থায় গৃহস্থ ব্যক্তির পক্ষে পুনরায় দারপরিগ্রহের অবশ্যকর্ত্তব্যতাবোধনার্থে, শাস্ত্রকারের দ্বিতীয় বিধি প্রদান করিয়াছেন। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব চিররোগিত্ব প্রভৃতি দোষ ঘটিলে, পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধনের ব্যাঘাত ঘটে; এজন্য, শাস্ত্রকারেরা তাদৃশ স্থলে স্ত্রীসত্ত্বে পুনরায় বিবাহ করিবার তৃতীয় বিধি দিয়াছেন।গৃহস্থাশ্রমসমাধানার্থ শাস্ত্রোক্তবিধানামুসারে সবর্ণাপরিণয়ান্তে, যদি কোনও উৎকৃষ্ট বর্ণ যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহে প্রবৃত্ত হয়, তাহার পক্ষে অসবর্ণাবিবাহে অধিকারবোধনার্থ শাস্ত্রকারের চতুর্থ বিধি প্রদর্শন করিয়াছেন; এবং এই বিধি দ্বারা, তাদৃশ ব্যক্তির তথাবিধ স্থলে সবর্ণাবিবাহ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে।

স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণে যে বিবাহের বিধি পাওয়া যাইতেছে, তাহা কাম্যবিবাহ; কারণ, প্রথম প্রমাণে, “যে ব্যক্তি এক স্ত্রী বিবাহ করিয়া রতিকামনায় অন্য স্ত্রী বিবাহ করিতে ইচ্ছা করেন”, এবং দ্বিতীয় প্রমাণে, “রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগ থাকিলে তাঁহারা অনেক ভার্য্যাও গ্রহণ করিবেন”, এইরূপে কাম্য বিবাহের স্পষ্ট পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। রতিকামনা ও রতিবিষয়ক সাতিশয় অনুরাগবশতঃ যে বিবাহ করা হইবেক, তাহা কাম্য বিবাহ ব্যতিরিক্ত নামান্তর দ্বারা উল্লিখিত হইতে পারে না। মনু কাম্যবিবাহস্থলে অসবর্ণবিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং সেই বিধি দ্বারা তথাবিধ স্থলে সবর্ণাবিবাহ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে। সুতরাং স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত প্রথম ও দ্বিতীয় প্রমাণ দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে, যে ব্যক্তি, সবর্ণাবিবাহ করিয়া, রতিকামনায় পুনরায় বিবাহ করিতে উদ্যত হয়, সে অসবর্ণ বিবাহ করিতে পারে; নতুবা যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত ব্যক্তি, রতিকামনা পূর্ণ করিবার নিমিত্ত, পূর্ব্বপরিণীতা সজাতীয় স্ত্রীর জীবদ্দশায়, পুনরায় সজাতীয়া বিবাহ করিবেক, ইহা কোনও ক্রমে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। মদনপারিজাতধৃত স্মৃতিবাক্যে ও ব্রহ্মাণ্ডপুরাণবচনে সামান্যাকারে কাম্যবিবাহের বিধি আছে, তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি সবর্ণা বা অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, তাহার কোনও নির্দ্দেশ নাই। মনু কাম্য- বিবাহের বিধি দিয়াছেন, এবং তাদৃশবিবাহাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, স্পষ্টাক্ষরে নির্দ্দেশ করিয়াছেন। এমন স্থলে, মনুবাক্যের সহিত একবাক্যতা সম্পাদন করিয়া, উল্লিখিত স্মৃতিবাক্য ও পুরাণবাক্যকে অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বলিয়া ব্যবস্থা করাই প্রকৃত শাস্ত্রার্থ, সে বিষয়ে কোনও অংশে কিছুমাত্র সংশয় বা আপত্তি হইতে পারে না। অতএব, ঐ দুই প্রমাণ অবলম্বন করিয়া, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত ব্যবহার, ইহা প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করা নিতান্ত নিষ্ফল প্রয়াসমাত্র।

স্মৃতির, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়দিগের অবলম্বিত তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও দশম প্রমাণ অসবর্ণাবিবাহবিষয়ক বচন। অসবর্ণা বিবাহব্যবহার কলিযুগে রহিত হইয়াছে; সুতরাং, এ স্থলে, তদ্বিষয়ে কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। তাঁহাদের অবলম্বিত অবশিষ্ট প্রমাণে এক ব্যক্তির অনেক স্ত্রী বিদ্যমান থাকার উল্লেখ আছে, কিন্তু তদ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না। ঐ সকল প্রমাণ সর্ব্বাংশে পরম্পর এত অনুরূপ যে একটি প্রদর্শিত হইলেই, সকলগুলি প্রদর্শিত করা হইবেক। এজন্য, এস্থলে তন্মধ্যে একটি প্রমাণ উদ্ধৃত হইতেছে;—

৭। সর্ব্বাসামেকপত্নীনামেকা চেৎ পুত্রিণী ভবেৎ।
সর্ব্বাস্তেন্তেন পুত্রেণ প্রাহ পুত্রবতীর্ম্মনুঃ॥ মনুঃ

স্বজাতীয় বহু স্ত্রীর মধ্যে যদি একটি স্ত্রী পুত্রবতী হয়; তবে সেই পুত্র দ্বারা সকল স্ত্রীকেই মনু পুত্রবতী কহিয়াছে।
এই মনুবচনে অথবা এতদনুরূপ অন্যান্য মুনিবচনে এরূপ কিছুই নির্দিষ্ট নাই যে তদ্দ্বারা শাস্ত্রোক্ত নিমিত্ত ব্যতিরেকে লোকের ইচ্ছাধীন বহুভার্য্যাবিবাহ প্রতিপন্ন হইতে পারে। উল্লিখিত বচনসমূহে যে বহুভার্য্যাবিবাহের পরিচয় পাওয়া যাইতেছে, তাহা অধিবেদনের নির্দ্দিষ্ট নিমিত্তনিবন্ধন, তাহার সন্দেহ নাই[৩]। ফলকথা এই, যখন শাস্ত্রকারেরা কাম্যবিবাহস্থলে কেবল অসবর্ণাবিবাহের বিধি দিয়াছেন, যখন ঐ বিধি দ্বারা, পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর জীবদ্দশায়, যদৃচ্ছাক্রমে সবর্ণাবিবাহ সর্ব্বতোভাবে নিষিদ্ধ হইয়াছে, যখন উল্লিখিত বহুবিবাহসকল অধিবেদনের নির্দিষ্ট নিমিত্ত বশতঃ ঘটা সম্পূর্ণ সম্ভব হইতেছে, তখন যদৃচ্ছাক্রমে যত ইচ্ছা বিবাহ করা শাস্ত্রকারদিগের অনুমোদিত কার্য্য, ইহা কোনও মতে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। বস্তুতঃ, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্তানুগত ব্যবহার নহে। আর, তাদৃশ বহুবিবাহকাণ্ড ন্যায়ানুগত ব্যবহার কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা নিতান্ত নিম্প্রয়োজন। বহুবিবাহ যে অতিজঘন্য, অতিনৃশংস ব্যবহার, কোনও মতে ন্যায়ানুগত নহে, তাহা, যাঁহাদের সামান্যরূপ বুদ্ধি ও বিবেচনা আছে, তাঁহারাও অনায়াসে বুঝিতে পারেন। ফলতঃ, যে মহাপুরুষেরা স্বয়ং বহুবিবাহপাপে লিপ্ত, তদ্ব্যতিরিক্ত অন্য কোনও ব্যক্তি বহুবিবাহব্যবহারের রক্ষাবিষয়ে চেষ্টা করিতে পারেন, অথবা অন্য কেহ বহুবিবাহপ্রথা নিবারণের উদ্যোগ করিলে, দুঃখিত হইতে পারেন, কিংবা তাহানিবারিত হইলে, লোকের ধর্ম্মলোপ বা দেশের সর্বনাশ হইল মনে ভাবিতে পারেন, এত দিন আমার সেরূপ বোধ ছিল না। বলিতে কি, স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ব প্রভৃতি মহাশয়দিগের অধ্যবসায় দর্শনে, আমি বিস্ময়াপন্ন হইয়াছি। বহু বিবাহ নিবারণের চেষ্টা হইতেছে দেখিয়া, তাহারা সাতিশয় দুঃখিত.ও বিলক্ষণ কুপিত হইয়াছেন, এবং ধর্ম্মরক্ষিণীসভার অধ্যক্ষেরা এ বিষয়ে চেষ্টা করিতেছেন বলিয়া, তাহাদের প্রতি স্বেচ্ছাচারী, শাস্ত্রানভিজ্ঞ, কুটিলমতি, অপরিণামদর্শী প্রভৃতি কটুক্তি প্রয়োগ করিয়াছেন। আমার বোধে, এই ভাবে এই বিচারপত্র প্রচার করা স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ব প্রভৃতি মহাশয়দিগের পক্ষে সুবোধের কার্য্য হয় নাই।

অনেকের মুখে শুনিতে পাই, তাঁহারা কলিকতাস্থ রাজকীয় সংস্কৃতবিদ্যালয়ের ব্যাকরণশাস্ত্রের অধ্যাপক শ্রীযুত তারানাথ তর্ক বাচস্পতি ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের পরামর্শে, সহায়তায় ও উত্তেজনায় বহুবিবাহবিষয়ক শাস্ত্রসম্মত বিচারপত্র প্রচার করিয়াছেন। কিন্তু সহসা এ বিষয়ে বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হইতেছে না। তর্কবাচস্পতি মহাশয় এত অনভিজ্ঞ নহেন যে, এরূপ অসমীচীন আচরণে দূষিত হইবেন। পাঁচ বৎসর পূর্ব্বে, যখন বহুবিবাহনিবারণপ্রার্থনায়, রাজদ্বারে আবেদন করা হয়; সে সময়ে তিনি এ বিষয়ে বিলক্ষণ অনুরাগী ছিলেন, এবং স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, নিরতিশয় আগ্রহ ও উৎসাহ সহকারে, আবেদনপত্রে নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন। এক্ষণে তিনিই আবার, বহুবিবাছরক্ষণপক্ষ অবলম্বন করিয়া, এই লজ্জাকর, ঘৃণাকর, অনর্থকর, অধর্ম্মকর ব্যবহারকে শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে প্রয়াস পাইবেন, ইহা সম্ভব বোধ হয় না।

শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা।
কাশীপুর।
২৪ এ শ্রাবণ। সংবৎ ১১২৮।

  1. স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ন প্রভৃতি মহাশয়েরা, যেরূপ পাঠ ধরিয়াছেন ও যেরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন তাহাই পরিগৃহীত হইল। আমার বিবেচনায় স্থিতীয় প্রমাণের প্রথমার্দ্ধে পাঠের ব্যতিক্রম হইয়াছে, সুতরাং ব্যাখ্যাও বৈলক্ষণ্য ঘটিয়াছে। বোধ হয়, প্রকৃত পাঠ এই;—
    একৈর ভার্য্যা স্বীকার্য্যা ধর্ম্মকর্মোপযোগিনী।
    ধর্মকর্মের উপযোগিনী এক ভার্য্যা বিবাহ করা কর্তব্য।
  2. ৫ পৃষ্ঠ হইতে ১০ পৃষ্ট পর্য্যন্ত দেখ।
  3. বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার পুস্তকের ১০ পৃষ্ঠ অবধি ১৪ পৃষ্ঠ পর্য্যন্ত দেখ।

© 2024 পুরনো বই