চতুর্থ দৃশ্য
[রমার বহির্বাটী। কাল সন্ধ্যা। প্রাঙ্গণের একদিকে চণ্ডীমণ্ডপের কিয়দংশ দেখা যাইতেছে এবং অন্যদিকে ছোট একটি তুলসীমঞ্চ। রমা সন্ধ্যাদীপ হাতে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিয়া মঞ্চমূলে প্রদীপ রাখিয়া গলায় আঁচল দিয়া প্রণাম করিল। এমনি সময়ে তাহার আনত মাথার কাছে নিঃশব্দ পদক্ষেপে রমেশ আসিয়া দাঁড়াইল]
রমা। (মুখ তুলিয়া অকস্মাৎ রমেশকে দেখিয়া বিস্ময়ে) এ কি আপনি যে!
রমেশ। অত্যন্ত প্রয়োজনে আসতে হলো রমা।
রমা। (ঈষৎ হাসিয়া) বেশ আসা! কিন্তু হঠাৎ কেউ যদি দেখে ত ভাববে আমি বুঝি প্রদীপ জ্বেলে আপনাকেই নমস্কার করছিলাম। এমনি কোরে বুঝি দাঁড়ায়?
রমেশ। রমা, আমি শুধু তোমার কাছেই এসেচি।
রমা। (হাসিমুখে) সে আমি জানি। নইলে কি মাসীর কাছে এসেচেন আমি বলচি? (এই বলিয়া সে প্রদীপ হাতে লইয়া উঠিয়া দাঁড়াইল) কি আদেশ বলুন?
রমেশ। তুমি নিশ্চয়ই সব শুনেচ। জল বার করে দেবার জন্যে তোমার মত নিতে এসেচি।
রমা। আমার মত?
রমেশ। হ্যাঁ, তোমার মত নিতেই ছুটে এসেচি রমা। আমি নিশ্চয় জানি দুঃখীদের এত বড় বিপদে তুমি কখনোই না বলতে পারবে না।
রমা। জল বার কোরে দেওয়াই উচিত বটে, কিন্তু কি কোরে হবে রমেশদা, বড়দার যে মত নেই।
[বেণী ও গোবিন্দর প্রবেশ]
বেণী। না, আমার মত নেই। কেন থাকবে? দু-তিনশো টাকার মাছ বেরিয়ে যাবে সে খবরটা রেখেছ কি? এ টাকাটা কি চাষারা দেবে?
রমেশ। চাষারা গরীব, টাকা তারা কোথায় পাবে? কথাটা একবার বুঝে দেখুন বড়দা।
বেণী। তা দেখেচি। কিন্তু নাহক এত টাকা আমরাই বা কেন লোকসান করতে যাব এ কথাটাও ত বুঝে উঠতে পারিনে রমেশ। (গোবিন্দর প্রতি) খুড়ো, এমনি করে ভায়া আমার জমিদারি রাখবেন! ওহে রমেশ, হারামজাদারা সকাল থেকে এতক্ষণ আমার ওখানে পড়েই মড়া-কান্না কাঁদছিল,—আমি জানি সব। বলি, তোমার সদরে কি দারোয়ান নেই? তার পায়ে নাগরা জুতো নেই? যাও ঘরে গিয়ে সেই ব্যবস্থা করগে, জল আপনি নিকেশ হয়ে যাবে।
[এই বলিয়া নিজের রসিকতায় গোবিন্দর সহিত
একযোগে হিঃ হিঃ হাঃ হাঃ—করিয়া হাসিতে লাগিল]
রমেশ। কিন্তু ভেবে দেখুন বড়দা, আমাদের তিন ঘরের দু’শো টাকা মাত্র লোকসান বাঁচাতে গিয়ে গরীবদের সারা বছরের অন্ন মারা যাবে। যেমন করে হোক তাদের পাঁচ-সাত হাজার টাকা ক্ষতি হবেই।
বেণী। হল হলই। তাদের পাঁচ হাজারই যাক আর পঞ্চাশ হাজারই যাক, এই গোটা সদরটা খুঁড়ে ফেললেও ত পাঁচটা পয়সা বার হবে না ভায়া, যে, ও-শালাদের জন্যে দু-দু’শ টাকা উড়িয়ে দিতে হবে?
রমেশ। এরা সারা বছর খাবে কি?
বেণী। (হাসিয়া, মাথা নাড়িয়া, থুথু ফেলিয়া, অবশেষে স্থির হইয়া) খাবে কি? দেখবে ব্যাটারা যে-যার জমি বন্ধক রেখে আমাদের কাছেই টাকা ধার করতে ছুটে আসবে। ভায়া, মাথাটা একটু ঠাণ্ডা কোরে চল। কর্তারা এমনি কোরেই বাড়িয়ে গুছিয়ে এই যে এক-আধ টুকরো উচ্ছিষ্ট ফেলে রেখে গেছেন, এই আমাদের নেড়ে-চেড়ে, গুছিয়ে-গাছিয়ে, খেয়েদেয়ে আবার ছেলেদের জন্যে রেখে যেতে হবে। ওরা খাবে কি? ধার-কর্জ করে খাবে। নইলে আর ব্যাটাদের ছোটলোক বলেচে কেন?
গোবিন্দ। এ যে মুনি-ঋষিদের শাস্ত্রবাক্য বাবাজী, এ ত আর তোমার আমার কথা নয়!
রমেশ। বড়দা, আপনি যখন কিছুই করবেন না স্থির করেচেন তখন তর্ক কোরে আর লাভ নেই।
বেণী। না নেই। (রমার প্রতি) তোমার পীরপুরের আকবর আলি আর তার ব্যাটাদের খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রমা। (গোবিন্দর প্রতি) চল খুড়ো, আমরা ও-দিকটা একবার দেখেশুনে আসি গে। সন্ধ্যাও হল।
গোবিন্দ। চল বাবা চল!
[উভয়ের প্রস্থান]
রমেশ। হুকুম দাও রমা, ওঁর একার অমতেই এত বড় অন্যায় হতে পারে না। আমি এখুনি গিয়ে বাঁধ কাটিয়ে দেব।
রমা। কিন্তু মাছ আটকে রাখার কি বন্দোবস্ত করবেন?
রমেশ। এত জলে কোন বন্দোবস্ত হওয়াই সম্ভবপর নয়। এ ক্ষতি আমাদের স্বীকার করতেই হবে। না হলে গ্রাম মারা যায়।
[রমা নীরব]
রমেশ। তা হলে অনুমতি দিলে?
রমা। না। এত টাকা আমি লোকসান করতে পারব না। তা ছাড়া বিষয় আমার ভাইয়ের। আমি অভিভাবক মাত্র।
রমেশ। না, আমি জানি অর্ধেক তোমার।
রমা। শুধু নামে, বাবা নিশ্চয় জানতেন সমস্ত বিষয় যতীনই পাবে। তাই অর্ধেক আমার নামে দিয়ে গেছেন।
রমেশ। (মিনতির কণ্ঠে) রমা, এ ক’টা টাকা? এদিকে তোমাদের অবস্থা সকলের চেয়ে ভাল। তোমার কাছে এ ক্ষতি ক্ষতিই নয়। আমি মিনতি জানাচ্চি, এর জন্যে এত লোককে অন্নহীন কোরো না। যথার্থ বলচি, তুমি যে এত নিষ্ঠুর হতে পার আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
রমা। নিজের ক্ষতি করতে পারিনে বলে যদি নিষ্ঠুর হই, না হয় তাই। ভাল, আপনার যদি এতই দয়া, নিজেই না হয় ক্ষতিপূরণ করে দিন না।
রমেশ। রমা, মানুষ খাঁটি কি না চেনা যায় শুধু টাকার সম্পর্কে। এই জায়গাটায় নাকি ফাঁকি চলে না, তাই এইখানেই মানুষের যথার্থ রূপ ধরা পড়ে। তোমারও আজ তাই পড়েচে। কিন্তু তোমাকে আমি কখনো এমন করে ভাবিনি। ভেবেচি, তুমি এর চেয়ে অনেক, অনেক ওপরে। কিন্তু তুমি তা নও। তোমাকে নিষ্ঠুর বলাও ভুল। তুমি অতি নীচ, অতি ছোটো।
রমা। কি আমি? কি বললেন?
রমেশ। তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ। আমি যে কত ব্যাকুল হয়ে উঠেচি, সে তুমি টের পেয়েছ বলেই আমার কাছে দুঃখীর মুখের গ্রাসের দাম আদায়ের দাবী করলে। কিন্তু বড়দাও মুখ ফুটে এ কথা বলতে পারেন নি। পুরুষ হয়েও তাঁর মুখে যা বেধেছে, নারী হয়ে তোমার মুখে তা বাধেনি।—একটা কথা তোমাকে আজ বলে যাই রমা। আমি এর চেয়েও ঢের বেশি ক্ষতিপূরণ করতে পারি, কিন্তু সংসারে যত পাপ আছে, মানুষের দয়ার ওপর জুলুম করাটাই সবচেয়ে বড়। আজ তুমি তাই করে আমার কাছে টাকা আদায়ের ফন্দি করেচ।
[রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় নিঃশব্দে চাহিয়া রহিল]
রমেশ। আমার দুর্বলতা কোথায় সে তোমাদের অগোচর নেই বটে, কিন্তু সেখানে পাক দিয়ে আজ একবিন্দু রস পাবে না। কিন্তু কি আমি করব তাও তোমাকে জানিয়ে দিয়ে যাই। এখুনি গিয়ে নিজে জোর করে বাঁধ কাটিয়ে দেব,—তোমরা পার আটকাবার চেষ্টা করো গে।
[এই বলিয়া রমেশ চলিয়া যাইতেছিল, রমা ফিরিয়া ডাকিল]
রমা। শুনুন। আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকে যত অপমান করলেন, আমি তার একটারও জবাব দেব না। কিন্তু এ কাজ আপনি কিছুতেই করবার চেষ্টা করবেন না।
রমেশ। কেন?
রমা। কারণ, এত অপমানের পরেও আমার আপনার সঙ্গে বিবাদ করতে ইচ্ছে করে না। আর—
রমেশ। আর কি?
রমা। আর, আর—হয়ত, আকবর-সর্দারের দল এসে পড়েচে।
রমেশ। কারা তোমার আকবর-সর্দারের দল আমি জানিনে—জানতেও চাইনে। কলহ-বিবাদের অভিরুচি আমারও নেই, কিন্তু, তোমার সদ্ভাবের মূল্যও আর আমার কাছে কিছুমাত্র নেই।
[দ্রুতপদে প্রস্থান]
[মাসীর প্রবেশ]
মাসী। কে অমন কোরে হাঁকাহাঁকি করছিল রে রমা, যেন চেনা-গলা?
রমা। কেউ না।
মাসী। না বললেই শুনব? সন্ধ্যেটি দিয়ে আহ্নিক করতে বসেচি, যেন ষাঁড়-চেঁচানো চেঁচাচ্ছে। আহ্নিক ফেলে রেখে উঠে আসতে হোল।
রমা। সে চলে গেছে। তুমি ফিরে গিয়ে আবার আহ্নিকে বসো গে। কুমুদা!
[দাসীর প্রবেশ]
কুমুদা। কেন দিদি?
রমা। একবার জ্যাঠাইমার ওখানে যাব, আমার সঙ্গে চলো।
মাসী। সেখানে আবার কিসের জন্যে?
রমা। দেখ মাসি, সব কথাই তোমাকে জানতে হবে তার মানে নেই। চল্ কুমুদা।
কুমুদা। চল দিদি।
[উভয়ের প্রস্থান]
মাসী। বাপ্রে! যেন মারমুখী! তবু যদি না লোকে তারকেশ্বরের কথা শুনত! আমি তাই লোকের সঙ্গে ঝগড়া করে মরি!
[প্রস্থান]
[বেণী, গোবিন্দ, আহত আকবর ও তাহার
দুই পুত্র গহর ও ওস্মানের প্রবেশ]
আকবর। (খুঁটি ঠেস দিয়া বসিয়া পড়িল। তাহার সমস্ত মুখ রক্তে ভাসিতেছে) আল্লা!
গহর। (নিজের রক্তধারা হাত দিয়া মুছিয়া ফেলিয়া) বাপজান্, দরদ কি বেশি মালুম হচ্চে?
আকবর। আল্লা!
বেণী। কথা শোন্ আকবর। থানায় চল্। সাত বছর যদি না তাকে দিতে পারি ত ঘোষাল-বংশের ছেলে নই আমি।
[রমার প্রবেশ]
রমা। অ্যাঁ! এমনধারা কে করলে তোমাদের আকবর?(এই বলিয়া সে অদূরে বসিয়া পড়িল)
আকবর। (আকাশের প্রতি হাত তুলিয়া) আল্লা!
বেণী। আল্লা! আল্লা! এখানে বসে আল্লা আল্লা করলে হবে কি? বলচি থানায় চল্। যদি না এর শোধ দশ বচ্ছর ঠেলতে পারি ত,—রমা, তুমি চুপ করে রইলে কেন? বল না একবার থানায় যেতে।
রমা। কে তোমাকে এমন কোরে জখম করলে আকবর?
আকবর। ছোটবাবু দিদিঠাকরুন।
রমা। এ কি কখনো হতে পারে আকবর? ছোটবাবু একলা তোমাদের তিন বাপ-ব্যাটাকে জখম কোরে দিলে? এ যে তিনশো জনে পারে না!
আকবর। তাই ত হোলো দিদিঠাকরান! সাবাস! মায়ের দুধ খেয়েছিল বটে! লাঠি ধরলে বটে!
গোবিন্দ। সেই কথাই ত থানায় গিয়ে বলতে বলচি রে ব্যাটা! কার লাঠিতে তুই জখম হলি? ছোটবাবুর, না সেই হারামজাদা ভোজোর?
আকবর। সেই বেঁটে হিন্দুস্থানীটার? লাঠির সে জানে কি? কি বলিস রে গহর, তোর পয়লা চোটেই সে বসেছিল, না রে?
[গহর কথা কহিল না, মাথা নাড়িয়া সায় দিল]
আকবর। মোর হাতের চোট পেলে সে বাঁচত না। গহরের লাঠিতেই বাপ কোরে সে বসে পড়লে দিদিঠাকরান।
আকবর। তখন ছোটবাবু তার লাঠি তুলে নিয়ে বাঁধ এট্কে দাঁড়াল দিদিঠাকরান, তিন বাপ-ব্যাটায় মোরা হটাতে নারলাম। আঁধারে বাঘের মত তেনার চোখ জ্বলতে লাগল। কইলেন, আকবর, বুড়োমানুষ তুই সরে যা। বাঁধ কেটে না দিলে সারা গাঁয়ের লোক মারা পড়বে, তাই কেট্তেই হবে। তুইও ত রে চাষী, তোর আপন গাঁয়েও ত জমিজমা আছে, সমঝে দেখ্ রে, সব বরবাদ হয়ে গেলে তোর ক্যামন লাগে? মুই সেলাম কোরে কইলাম, আল্লার কিরে ছোটবাবু, তুমি একটিবার পথ ছাড়। দিদিঠাকরান পেঠিয়েছে মোদের, মোরা জান কবুল দিইচি। তিনি চমকে উঠে কইলেন, তোদের রমা পাঠিয়েছে আকবর, আমারে মারতে? মুই কইলাম, তবে বাঁধ এট্কো না ছোটবাবু, ঘরকে যাও। তোমার আড়ালে দেঁড়িয়ে ঐ যে কয় সুম্মুন্দি মুয়ে কাপড় জড়ায়ে ঝপাঝপ্ কোদাল মারচে ওদের শিরগুলো ফাঁক কোরে দিয়ে যাই।
বেণী। বেইমান ব্যাটারা,—তাকে সেলাম বাজিয়ে এসে এখানে চালাকি মারা হচ্চে।
আকবর। (তিন বাপ-ব্যাটায় প্রতিবাদের ভঙ্গীতে হাত তুলিয়া) খবরদার বড়বাবু! বেইমান কোয়ো না। মোরা মোছলমানের ছ্যালে সব সইতে পারি,—ও পারি না।—(হাত দিয়া কতকটা রক্ত মুছিয়া ফেলিয়া) অ্যারে বেইমান কয় দিদি? ঘরের মধ্যি বসি বেইমান কইচো বড়বাবু, চোখে দ্যেখলি জানতে পারতে ছোটবাবু কি!
বেণী। (মুখ বিকৃত করিয়া) ছোটবাবু কি! তাই থানায় গিয়ে জানিয়ে আয় না? বলবি, তোরা বাঁধ পাহারা দিচ্ছিলি, ছোটবাবু চড়াও হয়ে তোদের মেরেচে।
আকবর। (জিভ কাটিয়া) তোবা! তোবা! দিনকে রাত করতি বল বড়বাবু?
বেণী। না হয় আর কিছু বলবি। আজ রাত্তিরে গিয়ে জখম দেখিয়ে আয় না,—কাল ওয়ারেন্ট বার কোরে একেবারে হাজতে পুরবো। রমা, তুমি ভাল কোরে একবার বুঝিয়ে বল না? এমন সুবিধা যে আর কখনো পাওয়া যাবে না!
[রমা নীরবে একবার আকবরের মুখের প্রতি চাহিল]
আকবর।(মাথা নাড়িয়া) না দিদিঠাকরান, ও পারব না।
বেণী।(ধমক দিয়া) পারবি নে কেন শুনি?
আকবর।(ক্রুদ্ধকণ্ঠে) কি কও বড়বাবু, সরম নেই মোর? পাঁচখানা গাঁয়ের লোকে মোরে সর্দার কয় না? দিদিঠাকরান, তুমি হুকুম দিলে আসামী হয়ে জ্যাল যাতি পারি, ফৈরিদি হব কোন্ কালামুয়ে?
রমা। সত্যিই পারবে না আকবর?
আকবর। না, দিদিঠাকরান, আর সব পারি, সদরে গিয়ে গায়ের চোট দেখাতে না পারি। ওঠ্ রে গহর, এইবার ঘরকে যাই। মোরা নালিশ করতি পারব না।
[এই বলিয়া তাহারা উঠিয়া দাঁড়াইল ও চলিয়া যাইতে লাগিল]
গোবিন্দ। সত্যিই যে চলে যায় বড়বাবু? কিছুই যে হোলো না?
বেণী ! বারণ কর না রমা, এমন সুযোগ ফসকালে যে আর কখনো মিলবে না।
[রমা অধোমুখে নির্বাক হইয়া রহিল; আকবর ও তাহার
দুই পুত্র লাঠিতে ভর দিয়া কোনমতে বাহির হইয়া গেল]
বেণী। ও—বোঝা গেছে সমস্ত।
গোবিন্দ। হুঁ, যা শোনা গেল তা মিথ্যে নয় দেখচি।
[উভয়ের দ্রুতপদে প্রস্থান]
রমা। রমেশদা, এ যে তুমি পারো, এত শক্তি যে তোমার ছিল এ কথা ত আমি স্বপ্নেও ভাবিনি!