হাঁসুলী বাঁকের উপকথা – কোপাই নদীর তীরে যেখানে নদীটি হাঁসুলীর মতো বাঁক নিয়েছে সেই বাঁশবাঁদি গ্রামের অন্ত্যজ শ্ৰেণীর মানুষ কাহারদের বিচিত্র জীবনযাত্রার মধ্যে আধুনিক জীবনের আগমন এক বিপ্রতীপ ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করেছে। প্রাচীন কৃষি-ব্যবস্থানির্ভর জীবনে যন্ত্রসভ্যতার আবির্ভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। কাহারদের লৌকিক বিশ্বাস, অলৌকিক জগৎ, সংস্কারভাবনা, পূজা-পার্বণ, শিকার-উৎসব, সঙ্গীত বশি এর মধ্যেই যে তাদের সংস্কৃতি তাকে লেখক তন্নিষ্ঠ বাস্তবতায় চিত্রিত করেছেন। তাঁর অনেক লেখার মতো হাঁসুলী বাঁকের মানুষদের কাছ থেকে দেখেছেন। ‘আমার সাহিত্যজীবন’ গ্রন্থে লিখেছেন–‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথার মানুষদের পর্যন্ত আমার এইভাবে জানার সুযোগ হয়েছিল ওই সুচাঁদ এবং আমি বসে গল্প করেছি আর বিড়ি টেনেছি।’ ১৩৫৩-র শারদীয়া আনন্দবাজারে এই উপন্যাসটি বেরিয়েছিল। অবশ্য ওই বছর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দরুন অক্টোবর মাসে পত্রিকা প্রকাশিত হয় নি, হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। ১৩৫৪ সনে বেঙ্গল পাবলিশার্স গ্রন্থাকারে উপন্যাসটি বের করে। এটি উৎসর্গ করা হয়েছিল কবিশেখর কালিদাস রায়কে।
Related Chapters
- সূচনা
- ১.১ হাঁসুলী বাঁকের ঘন জঙ্গল
- ১.২ আর্তনাদ করে উঠল বনওয়ারী
- ১.৩ কাহারপাড়ার আবালবৃদ্ধবনিতা স্তম্ভিত এবং স্তব্ধ
- ১.৪ করালীর চোখ জ্বলে উঠল
- ১.৫ ড্যাং-ডাং-ডাং-ড্যাডাং-ড্যাডাং
- ২.১ যথানিয়মে রাত্রি প্রভাত
- ২.২ চন্দনপুর ইস্টিশানে
- ২.৩ দারোগার কাছে করালীকে শনাক্ত
- ২.৪ হাঁসুলী বাঁকের রাত্রির অন্ধকার
- ২.৫ বাঁশবনের অন্ধকার
- ২.৬ হাঁসুলী বাঁকের কাহারপাড়া
- ২.৭ সায়েবডাঙা, কেউ বলে কুঠিডাঙা
- ২.৮ কালরুদ্রের গাজনে
- ২.৯ বনওয়ারীর মাতব্বরি
- ৩.১ কাক-চিল-বক পক্ষীর পালক
- ৩.২ নয়ানের মা যে-অভিসম্পাতই দিক
- ৩.৩ ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাত
- ৩.৪ ঘোড়াগোত্ত কাহারদের ডাক এসেছে
- ৩.৫ বিয়ের পালকিবহন দুদিনের আমোদ
- ৪.১ বনওয়ারী বিহ্বল
- ৪.২ কোপাইয়ের ধারে খুব গোলমাল
- ৫.১ আবার বাজল গাজনের ঢাক
- ৫.২ উনপঞ্চাশ সাল
- ৫.৩ অন্ধকার রাত্রে বটতলায়
- ৫.৪ মঙ্গল নাই আর
- ৫.৫ শাঙন পার হল
- ৫.৬ সমস্ত পাড়াটা এখনও নিঝুম
- ৫.৭ বনওয়ারীর ঘরে ঢুকেছে কালসাপিনী
- ৫.৮ প্রলয় ঝড় শেষ হল
- ৬. শেষ পর্ব – দু মাস পর