সন্দেশ পত্রিকা সম্পাদনার সময় পত্রিকার প্রয়োজনেই এই লেখাগুলোর জন্ম! সদেশের চতুর্থ বষ প্রথম সংখ্যা থেকে নবম বর্ষ প্রথম সংখ্যা অর্থাৎ ১৩২৩ সালের বৈশাখ থেকে ১৩২৮ সালের বৈশাখ সংখ্যা পর্যন্ত পুরো পাঁচ বছর ধরে এই ষোলোটি জীবনী-বিষয়ক রচনা প্রকাশিত হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষে পাঁচটি করে ষষ্ঠ বর্ষে চারটি ও অস্টম এবং নবম বর্ষে একটি করে লেখা সন্দেশে বেরিয়েছিল। লেখাগুলি সন্দেশে প্রকাশিত কালানুক্রমেই এখানে বিন্যস্ত হল, বিষয়ানুক্রমে নয়।
বিষয়ের দিক দিয়ে ষোলোটি প্রবন্ধের মধ্যে সাতটি বিজ্ঞানীদের জীবনের নানা ঘটনার ও বিভিন্ন আবিষ্কারের মজার মজার কাহিনী, তিনটি দেশ-আবিষ্কার বা এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী বাকি দুটি দার্শনিক ও অন্যান্য সমরণীয় কয়েকটি চরিত্রের জীবনের নানা ঘটনাকে অবলম্বন করে রচিত। প্রবন্ধগুলি লেখার সময় সদেশের কিশোর পাঠকদের মুখ সামনে রেখেই এগুলি রচনা করেছেন সম্পাদক সুকুমার—তাই ভাষার সহজ সরল আকর্ষণীয় সাবলীলতা কিশোর মনকে সহজেই প্রবন্ধগুলোর মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। কোনো কোনো প্রবন্ধে অনেক সময় বিভিন্ন ঘটনার সময়ের হিসাব স্বভাবতই তখনকার সময় ধরে করা হয়েছে। প্রত্যেকটি রচনার শেষেই প্রকাশের তারিখ থাকায় সেটা হিসেব করে নিতে পাঠকদের অসুবিধে হবে না। ভাষার দিক দিয়ে দশটি রচনা সাধুভাষায় ও ছটি রচনা চলিত ভাষায় রচিত হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় ভাষার মিশ্রণ লক্ষ্য করা যাবে। লেখকের ভাষার যথাযথ রূপ বজায় রাখার জন্যই সেগুলি সেইরকমই রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে সদেশের পাঠই .সর্বর অনুস্থত হয়েছে, শুধু মার দু-একটি শব্দ পত্রিকায় প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদের অপ্রাসঙ্গিকতা এড়াবার জন্য বর্জন করা হয়েছে।