সাধারণে কথায় বলেন, “হুনরে চীন” ও “হুজ্জুতে বাঙ্গাল” কিন্তু হুতুম বলেন “হুজুকে কলকেতা”। হেথা নিত্য নতুন হুজুক, সকল গুলিই সৃষ্টিছাড়া ও আজগুব। কোন কাজকর্ম্ম না থাকলে, “জ্যাঠাকে গঙ্গাযাত্রা” দিতে হয়, সুতরাং দিবারাত্র হুঁকো হাতে করে থেকে গল্প করে, তাস ও বড়ে টিপে, বাতকৰ্ম্ম কত্তে কত্তে, নিষ্কৰ্ম্মা লোকেরা যে আজগুব হুজুক তুলবে, তা বড় বিচিত্র নয়। পাঠক! যতদিন বাঙ্গালীর “বেটর অকুপেসন” না হচ্ছে, যতদিন সামাজিক নিয়ম ও বাঙ্গালীর বর্তমান গাহস্থ্যপ্রণালীর রিফরমেশন না হচ্ছে, ততদিন এই মহান্ দোষের মুলোচ্ছেদের উপায় নাই। ধৰ্ম্মনীতিতে যারা শিক্ষা পান নাই, তারা মিথ্যার যথার্থ অর্থ জানেন না, সুতরাং অক্লেশে আটপৌরে ধুতির মত ব্যবহার কত্তে লজ্জিত বা সঙ্কুচিত হন না।
Related Chapters
- ভূমিকা
- ১.০১ কলিকাতায় চড়ক পার্ব্বণ
- ১.০২ কলিকাতার বারোইয়ারি-পূজা
- ১.০৩ হুজুক
- ১.০৪ ছেলেধরা
- ১.০৫ প্রতাপচাঁদ
- ১.০৬ মহাপুরুষ
- ১.০৭ লালা রাজাদের বাড়ী দাঙ্গা
- ১.০৮ কৃশ্চানি হুজুক
- ১.০৯ মিউটীনি
- ১.১০ মরা-ফেরা
- ১.১১ আমাদের জ্ঞাতি ও নিন্দুকেরা
- ১.১২ নানা সাহেব
- ১.১৩ সাতপেয়ে গরু
- ১.১৪ দরিয়াই ঘোড়া
- ১.১৫ লক্ষ্ণৌয়ের বাদসা
- ১.১৬ শিবকৃষ্ট বন্দ্যোপাধ্যায়
- ১.১৭ ছুঁচোর ছেলে বুঁচো
- ১.১৮ জষ্টিস ওয়েলস
- ১.১৯ টেকচাঁদের পিসি
- ১.২০ পাদ্রি লং ও নীলদর্পণ
- ১.২১ রমাপ্রসাদ রায়
- ১.২২ রসরাজ ও যেমনকৰ্ম্ম তেমনি ফল
- ১.২৩ বুজরুকী
- ১.২৪ হোসেন খাঁ
- ১.২৫ ভূত-নাবানো
- ১.২৬ নাক-কাটা বঙ্ক
- ১.২৭ পদ্মলোচন দত্ত ওরফে হঠাৎ অবতার
- ১.২৮ মাহেশের স্নানযাত্রা
- ২.১ রথ
- ২.২ দুর্গোৎসব
- ২.৩ রামলীলা
- ২.৪ রেলওয়ে