ব্রতকাল ও ব্রতচারিণী—পৃথিবী ব্রত করে চৈত্র সংক্রান্তি থেকে বৈশাখ সংক্রান্তি পর্যন্ত রোজ। পাঁচ বৎসরে আরম্ভ করে নয় বৎসর বয়সে ব্রত উদযাপন করাই প্রশস্ত। তবে এ বিষয়ে খুব বাঁধাবাঁধি নেই। উদযাপনের সময় চাই সোনার পদ্মপাতা। ব্রাহ্মণভোজনের পর দক্ষিণার সঙ্গে ব্রাহ্মণ তা পেয়ে থাকেন। অভাবে দাম ধরে দিতে হয়।
ব্রত-অনুষ্ঠান: পিটুলি দিয়ে মাটিতে আঁকবে পদ্মের একটি ঝাড়; তার মাঝখানে থাকবে ফোটা শতদল পদ্ম। সেই ফোটা শতদল পদ্মের উপরে আঁকবে পৃথিবী—যেন পৃথিবীকে বসানো হয়েছে শতদলের উপর।
তারপর ছোটো শাঁখের মধ্যে, কিংবা ছোটো ছোটো বাটিতে মধু, দুধ, আর ঘি একসঙ্গে নিয়ে সেই আলপনার সুমুখে পূর্বমুখ কি উত্তরমুখ হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে মন্ত্র পড়ে আলপনার উপর ঢেলে দেবে সে-সব। তিনবার মন্ত্র পড়ে তিনবার ঢালবে। কোথাও কোথাও মধু, দুধ, ঘি-এর বদলে দেয় ফুল আর দূর্বা। মন্ত্র:
এসো পৃথিবী বসো পদ্মে,
শঙ্খচক্র ধরি হস্তে।
খাওয়াব ক্ষীর মাখন ননী,
আমি যেন হই রাজার রানি।।
পৃথিবী ব্রত সমাপ্ত।