ব্রতকাল ও ব্রতচারিণী—দশ-পুত্তল ব্রতও করতে হয় চৈত্র সংক্রান্তি থেকে বৈশাখের শেষ অবধি। তবে এর অনুষ্ঠান হয় রোজ বৈকাল বেলায়। এ ব্রতও কুমারী প্রথম নেবে পাঁচ বৎসর বয়সে, চার বৎসর ব্রত করে নয় বৎস বয়সে করবে ব্রত উদযাপন।
ব্রতানুষ্ঠান—পিটুলি দিয়ে দশটি পুতুল এঁকে এক-একটি মন্ত্র বলে এক-একটি পুতুলে ফুল কি দূর্বা দেবে।
মন্ত্র:
মরিয়ে মনুষ্য হব, ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম লব।
সীতার মতো সতী হব, রামের মতো পতি পাব।।
লক্ষ্মণের মতো দেবর পাব, কৌশল্যার মতো শাশুড়ি পাব।
দশরথের মতো শ্বশুর পাব, দুর্গার মতো মা পাব।।
শিবের মতো বাপ পাব, লক্ষ্মী সরস্বতী বোন পাব।।
কার্তিক গণেশ ভাই পাব, কুন্তীর মতো ধীরা হব।।
দ্রৌপদীর মতো রাঁধুনি হব, কলা বউয়ের মতো লজ্জাবতী হব।
বিউলির ডালের বর্ণ হব, দূর্বার মতো লতিয়ে যাব।।
দশ-পুত্তল ব্রত সমাপ্ত।