দেখো মনে সব থাকে। সেই ছেলেবেলা কবে কোন্কালে দেখেছি রাজেন মল্লিকের বাড়িতে নীলে সাদায় নকশা কাটা প্রকাণ্ড মাটির জাল, গা-ময় ফুটো, উপরে টানিয়ে রাখত। ভিতরে চোঙের মতো একটা কী ছিল তাতে খাবার দেওয়া হত। পাখিরা সেই ফুটো দিয়ে আসত, খাবার খেয়ে আর-এক ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যেত। অবাধ স্বাধীনতা, ঢুকছে আর বের হচ্ছে। মানুষের মনও তাই। স্মৃতির প্রকাণ্ড জাল, তাতে অনেক ফুটাে। সেই ফুটাে দিয়ে স্মৃতি ঢুকছে আর বের হচ্ছে। জালা খুলে বসে আছি, কতক বেরিয়ে গেছে কতক ঢুকছে কতক রয়ে গেছে মনের ভিতর, ঠোকরাচ্ছে তো ঠোকরাচ্ছেই, এ না হলে হয় না আবার। আর্টেরও তাই। এই ধরো-না বিশ্বভারতীর রেকর্ড, রবিকাকা কোথায় গেলেন, কী করলেন, সব লেখা আছে; কিন্তু তা আর্ট নয়, ও হচ্ছে হিসেব। মানুষ হিসেব চায় না, চায় গল্প। হিসেবের দরকার আছে বৈকি, কিন্তু ঐ একটু মিলিয়ে নেবার জন্য, তার বেশি নয়। হিসেবের খাতায় গল্পের খাতায় এইখানেই তফাত। হিসেব থাকে না মনের ভিতরে, ফুটাে দিয়ে বেরিয়ে যায়, থাকে গল্প। সেই ‘ঘরোয়া’ গল্পই বলে গেলুম তোমাকে।
Related Chapters
- ভূমিকা
- ০১. প্রায়ই প্রায়ই মনে পড়ে
- ০২. সেকালে শখ বলে একটা জিনিস ছিল
- ০৩. এ তো গেল শোনা গল্প
- ০৪. সেকালের কর্তাদের গল্প শুনলে
- ০৫. আজ সকালে মনে পড়ল
- ০৬. এইবারে হিন্দুমেলার গল্প বলি শোনো
- ০৭. এখন থিয়েটারের গোড়াপত্তন কী করে হল
- ০৮. তখনকার কালের নাটকের সূত্রপাতের কথা
- ০৯. প্রথম বাড়িতে প্লে আরম্ভ হল
- ১০. এইবারে বড়ো বাল্মীকিপ্রতিভার গল্প শোনো
- ১১. ভগ্নহৃদয় লেখা চুকিয়ে রবিকাকা
- ১২. সেই খামখেয়ালীর যুগে রবিকাকাকে দেখেছি
- ১৩. বিরজিতলায় মেজোজ্যাঠামশায়ের বাড়িতে
- ১৪. দেখো মনে সব থাকে